থার্টিফার্স্ট নাইটকে কেউ কেউ ‘থার্টি ওয়ান ফাস্ট নাইট’ কেউ বা ‘থার্টিফার্স্ট ডিসেম্বর’, কেউ কেউ ‘মাদকের হাতে খড়ি দিবস’, বলে অভিহিত করেছেন। রাতের নামকরণ যাই হোক না কেন মূল কথা হলো, ঈসায়ী সনকে আনন্দের সাথে উদযাপন করা। আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুস্থ সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু এ রাতের ইতিবাচক দিকের তুলনায় নেতিবাচক দিকই শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীর জীবনে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। প্রাচীন ব্যাবিলনে জুলিয়াস সিজার চার হাজার বছর পূর্বে ঈসায়ী নতুন বর্ষ উদযাপনের প্রচলন শুরু করেন। তেমনি বাংলাদেশর তথাকথিত ‘সংস্কৃতমান’রাও থেমে নেই, পশ্চিমা সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেয়া যেন রীতিতে পরিণত হয়েছে। রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নতুন বছর গণনা শুরু হলেও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বর্ষ বরণের নামে নানা অনুষ্ঠান ও অপসংস্কৃতির চর্চা।
একেক দেশে একেকভাবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশে এ বর্ষবরণে ভিন্নমাত্রা যুক্ত হয়েছে। গান বাজনা, নাচ-গান, ডিস্কো কিংবা ডিজে, পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালনা, আনন্দ শোভা যাত্রা, তরুণ-তরুণীদের রাতভর উল্লাস, মদ-বিয়ারসহ নানা মাদকদ্রব্য সেবনে প্রলুব্ধ করতে ওপেন এয়ার কনসার্ট, লাইভ ড্যান্স, সঙ্গীতানুষ্ঠানে অপসংস্কৃতি চর্চা হয় এবং তরুণ-তরুণীদের প্রলুব্ধ করার জন্য থাকে নানারকম আয়োজন। জীবননাশক নেশাদ্রব্য সাথে নিয়ে অবিবাহিত তরুণ-তরুণী কোলাহল মুক্ত, লোক চক্ষুর অন্তরালের স্থানগুলোতে মিলিত হওয়ারও খবর পাওয়া যায়।
রাত ১২টার পর শুরু হবে নতুন বর্ষ । আর এ বর্ষবরণ শুরু হবে মদ খাওয়া মাতালদের উম্মত্ব উলঙ্গ নৃত্যের মাধ্যমে । পালন করা হবে অসভ্য মানুষদের সভ্যতার পরিপন্থি ( তথাকথিত সভ্য মানুষদের বিশ্ব বেহায়াপনার একটি উলঙ্গ প্রদর্শনীর প্রতীক – ” থার্টি ফাস্ট নাইট ”। নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও আদর্শবাদী মানুষরা যখন গভীর ঘুমে মগ্ন এমন সময় পটকা ফাটিয়ে, ঢোল পিটিয়ে আতশবাজি করে প্রচ- আওয়াজে ঘুম ভেঙে দিয়ে রাজ পথে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ স্লোগান কী ধরনের চেতনা তা বোধগম্য নয়। ‘এক দিনের বাঙালি ও চেতনাধারী ব্যবসায়ী’ হিসেবে পহেলা বৈশাখে যাদেরকে আমরা রাজপথে দেখি তারাই আবার থার্টিফার্স্টের মতো ভিনদেশি সংস্কৃতি পালনে অতি উৎসাহী। যে সব তরুণ প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থানে এ উৎসবে নিবেন তারা কি পারেন না বস্ত্রহীন মানুষের পাশে দাঁড়াতে কিংবা অনাহারির মুখে একমুঠো খাবার তুলে দিতে। কিন্তু তরুণদের তো সেই কাজগুলো করতে দেখি না। তাই প্রশ্ন জাগে, এরা আসলে দেশের মানুষের জন্য কিছু করেন না বরং উৎসবের নামে নিজেরা আনন্দে মেতে ওঠেন। যদিও টাকার বিনিময়ে বিশাল বলরুমে লাইভ ব্যান্ড শো, ফ্যাশন শো, ককটেল ফুড, ডিজে পার্টি, লাকি ড্র এবং সারা রাত নাচ উপভোগের সুযোগ নৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে।
আজকাল ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উদযাপন চরিত্র হননের একটি মাধ্যম। অশ্লীলতা, বেহায়পনা, নগ্নতাই যার ভিত্তি। যদিও নতুন বর্ষ উদযাপন করার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। নিছক আনন্দের আড়ালে মানুষের চরিত্রের পশুবৃত্তিকে জাগিয়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য। এটি দেশীয় বা ইসলামি সংস্কৃতি তো নয়ই বরং অপসংস্কৃতি বললেও হয়তো কম বলা হবে। ‘থার্টিফার্র্স্ট নাইট’ আসার আগে থেকেই একে বরণ করার চেষ্টায় মরিয়া এক শ্রেণীর যুবক-যুবতী ও তরুণ-তরুণী। প্রাপ্ত বয়স্ক কিংবা বিবাহিত নারী পুরুষের তুলনায় কম বয়সী নতুন প্রজন্ম একে বরণ করতে বেশ আগ্রহী। খ্রিস্টীয় নতুন বর্ষবরণের আনন্দের নামে যা কিছু করা হয় তার অধিকাংশই নেতিবাচক। বিশেষ করে নতুন পোশাক পরিধান করে অবৈধ সম্পর্কের ছদ্ম পরিচয়ে ছেলে হলে মেয়ে বন্ধু, আর মেয়ে হলে ছেলে বন্ধুকে নিয়ে গভীর রাতে কিংবা দিনের কোন একটি বৃহৎ সময় ধরে নতুন কোন পরিবেশে আনন্দে হারিয়ে যাওয়া। কৌতূহলী হয়ে বা অভ্যাসগতভাবে নেশাদ্রব্য গ্রহণ করা। নাচ-গান ও অশ্লীলতায় মত্ত হওয়া। অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নগ্নতা, ডিজে পার্টির নামে অবৈধ সম্পর্কের সুযোগ করে দিয়ে সভ্যতা শেখানো যায় না। বরং এতে করে ইভটিজিং দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। অনৈতিকতার সবগুলো পথ খোলা রেখে ইভটিজিং বন্ধ করার চিন্তা হাস্যকর। বাড়ির ছাদ, রাজপথ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর সবটাই যেন সিনেমার বড় পর্দা! এসব অনৈতিক ও বিতর্কিত কর্মকা- পরিহার করে উৎসবের নামে ভোগবাদী মানসিকতা দূর করতে হবে।
বাংলাদেশে পালনোম্মুখ একটা বিদেশী কুরুচিপূর্ণ , বাংলার সভ্য রূপকে অসভ্যতার রূপ দিয়ে কলঙ্কিত করার বিদেশী পায়তারা । যাতে অংশ নেয় বাংলা মায়ের গর্ভ জন্ম নেয়া , নিজ মাতাকে অসম্মানকারী বিত্তশালীদের বিদেশী মদের নেশায় মাতাল সূর্যসন্তানরা । যার দেখাদেখি জড়িয়ে পড়ে বাংলা মায়ের সহজ সরল সন্তানরাও ।
আমি সকল নারীকে একই পাল্লায় তুলিনি। নারীদের অশ্রদ্ধা করে নয় , নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাদের সতর্ক কারণে এই ভাবনা।
নারী হয়ে আপনারা যে সম্মানটি প্রাপ্য , আপনাদের নিজেদের কারণেই সে সম্মান প্রাপ্তি থেকে আপনারা বঞ্চিত হচ্ছেন সেটাই বুঝাতে চাচ্ছি। বৃহদাংশ মেয়েদের উশৃঙ্খল জীবন যাপনের কারনে আজ আপনারা সমগ্র নারী জাতি অসম্মানীত।
আপনার কথাটা পুরাপুরি মানতে পারছিনা। ভবিষ্যত ওপেন সেক্সের নগরী ঢাকাতে এখনও অনেক ভাল ও ধর্মপরায়ন নারী আছেন , যাঁদের কারনে এখনো ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে পারেনি। তবে ঢাকার উদ্যানগুলোর দিকে চোখ দিলে মনে হয় ঢাকা ওপেন সেক্সের নগরী হিসাবে খ্যাতি পেতে আর বেশী দেরী নেই।
এখনকার বেশীর ভাগ মা বাবাদের বানিজ্যিক ইচ্ছায়ই তাদের মেয়েরা খারাপ ও উশৃঙ্খল পথে পা বাড়াচ্ছে। বেশী দূরে যেতে চাইনা । শুধু এটুকু বলতে চাই মা বাবার অনুমতি ছাড়া কোন মেয়ে সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের বিশ্ববাজারে পণ্য রূপে প্রদর্শন করতে পারেন না।
মেয়েরা এ ক্ষেত্রে যতটুকু অপরাধী তার দ্বিগুন অপরাধী ছেলেরা , যারা মেয়ে দেখলেই লুলোপ দৃষ্টি হানে,পথে ঘাটে মেয়েদের উপর অহেতুক ভাবেই ছড়াও হয়। আমি এখানে সেসব উল্লেখ করতে চাইনি । আমি শুধু একটা বিশেষ দিনের সংঘটিত ঘটনার দিকে আলোকপাত করতে চেয়েছি। যাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের উপর বিপদ ডেকে আনে। তার তিনটা জলজ্যান্ত উদাহরণও দেখিয়েছি উপরের মন্তব্যে। এ ধরণের ঘটনা যাতে মেয়েরা স্বেচ্ছায় বরণ করতে বেরিয়ে না পড়ে সেদিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছি। যা আগামীকাল দিবাগত রাতে ঘটতে যাচ্ছে। যে রাতে অধিকাংশ মেয়ে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিতে যাচ্ছে তাদের আগামী দিনের দুঃসহ যন্ত্রণার যাত্রাপথ।
এখানেই তথাকথিত প্রেমের প্রতি আমাদের যুদ্ধ। যে প্রেম সুন্দর করে মানুষকে বাঁচতে শেখায়না , যে প্রেম মানুষকে অন্ধকার গলিপথে ঠেলে দেয় , সে প্রেম কখনো প্রেম হতে পারেনা। সেটা ক্ষণিকের মোহে জড়িয়ে পড়া। একজন পুরুষ সঙ্গী যদি মেয়েসঙ্গীকে যত্রতত্র নিয়ে যেতে চায় , তবে সে মেয়েটির উচিত উক্ত পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গ ত্যাগ করা । এটাই বুঝাতে চাচ্ছি। মেয়েদের যদি এতই নববর্ষ উদযাপনের প্রয়োজন হয় তবে তারা মেয়েদের সাথেই নববর্ষ উদযাপন করুক , তারা পুরুষদের মাঝে যাবে কেন ? এতো হবে কাঁটা নিয়ে খেলতে গিয়ে স্বেচ্ছায় কাঁটার আঘাত খাওয়ার মত ঘটনা , তাতে কাঁটার দোষ কি ?
নর আর নারী দুই ভাগে বিভক্ত সেই মানব জন্মের শুরু থেকে তাই মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত, এক ভাগে নারী অন্য ভাগে নর। এটাই স্রষ্টার নিয়ম। এখানে আমি কেন বিভক্ত করতে যাব ? স্রষ্টার নিয়মই বা আমি খন্ডাই কি করে ? আমি কি কখনো কোন নরকে নারী বা কোন নারীকে নর বানাতে পারব ? কখনোই না , সেটা স্রষ্টার হাতে।
এই আধুনিক যুগে এসেও কোন বৈজ্ঞানি মায়ের পেটে জন্ম নেয়া নরকে নারী আর নারীকে নর বানাতে পারবেনা। সে ক্ষমতা স্রষ্টা মানবজাতির কোন মানুষকে দেয়নি। স্রষ্টা যেমন মানুষকে দুইভাগে বিভক্ত করে তাদের দুনিয়ায় এনেছেন , তেমনি সেই মানুষদের জীবন পরিচালনার জন্যও দুইভাবে নিয়ম করে দিয়েছেন। এই দু’টি নিয়মকে যদি মানুষ একত্র করে একটি নিয়মে পরিবর্তন করতে যায় তবে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা।
তাই তো মানুষ দিনকে রাত করতে পারে না আবার রাতকে দিন। যেমন করতে পারেনা মানুষ স্রষ্টার নিয়ম চন্দ্র – সূর্যের পথকে এক করতে। নর ও নারীর চলার পথ ও তেমনি। যে চলার পথটি সৃষ্টি করে দিয়েছেন স্বয়ং স্রষ্টা। চন্দ্র – সূর্য – রাত – দিনের নিয়মকে যেমন একত্র করতে গেলে বিশৃন্খলা দেখা দিবে তেমন নর – নারীর চলার পথকে এক করতে গেলেও দেখা দিবে বিশৃন্খলা। নর – নারীর মধ্যে চলমান আজকের যে সব বিশৃন্খলা দেখা যাচ্ছে তা শুধু ঐ স্রষ্টার বিধিবদ্ধ নিয়ম লঙ্গনের কারণেই।
নর-নারীকে আলাদা কোন বিচ্ছিন্ন প্রাণী ভাবছিনা। তাই আমিও বলি তারা একে অপরের পরিপুরক। তাদের একজন ছাড়া অন্যজন অচল। তবে তাদের সেই সঙ্গ দেয়ার নিয়মটিকেই আমি ভিন্ন ভাবে দেখছি। তাদের সেই সঙ্গ দেবার একটা মাপকাঠির পরিচিতি দিতে চাচ্ছি। আমি শুধু তাদের চলার পথের নিয়মকেই বিভক্তির দৃষ্টিতে দেখছি , যে বিভক্তি স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত।
যদি নর-নারী উভয়েই তাদের চলার পথে স্রষ্টা কর্তৃক আরোপিত বিধিবদ্ধ নিয়মানুষারে চলত , তবে আজকে দৃশ্যমান উভয়ের মধ্যকার যে বিশৃঙ্খলা তা কখনো পরিলক্ষিত হতোনা। যদিও মেয়েদের কোন পার্টিতে কোন পুরুষ যায়না , কিন্তু পুরুষদের পার্টিতে মেয়েদের উপস্থিতি যেন হতেই হয়। যদি মেয়েদের অনুষ্টানে পুরুষ না গিয়ে থাকতে পারে , তবে মেয়েরা কেন পুরুষদের পার্টিতে না গিয়ে থাকতে পারবেনা।
কোন পুরুষ কোন মেয়েকে যেখানে সেখানে যেতে বললেই কি যেতে হবে ? কোন পুরুষের অন্যায় আবদার মেয়েরা রক্ষা করতে যাবে কেন ? তাদের কি আত্মসম্মান বা ব্যক্তিত্ববোধ বলতে কিছুই নেই ? আজ পুরুষদের বল্গাহীন আহবানে সাড়া দিয়ে নারীদের লগামহীন ভাবে সহযাত্রার কারণে সমগ্র নারী জাতীর ইজ্জত সম্মান পদদলিত। নারীদের সম্মান যাতে এইভাবে পদদলিত না হয় সেজন্যই বললাম।
তরুণদের প্রতি আহ্বান! হে তরুণ-তরুণী, হে যুবক-যুবতী, তুমি শ্রেষ্ঠ হও তোমার গুণে ও কর্মে। তোমাকে দেখে ছোট্টরা শিক্ষা নিবে। সন্তানরা আদর্শ মা-বাবা উপহার পাবে। হে নতুন প্রজন্ম! চিয়ার্স গার্লরা-মিনি স্কার্ট, টাইট জিন্স, পাতলা টি-শার্ট পড়ে তোমাদের কীভাবে ভালো কিছু উপহার দিবে? যারা দর কষাকষি করে বিনোদনের জন্য উধাও হয়ে যায়, তাদেরকে মডেল হিসেবে সামনে হাজির করে সভ্যতা শেখাতে যাওয়া বোকামি ছাড়া কিছু নয়। নতুন প্রজন্মকে অশ্লীলতার দিকে ঠেলে দেয়ার মতো ন্যাক্কারজনক কার্যাদি কখনোই ফ্যাশন হতে পারে না। অমুসলিমরা যা করবে, করতে পারে তুমি মুসলিম হয়ে সে কাজটি করতে পার না! তোমাকে নিয়ে যে মা-বাবা ও দেশ গর্ব করে, সেই আশাকে তুমি ধুলোয় মিশিয়ে দিও না। যে কোন আনন্দই হোক না কেন তা যেন সফল মস্তিষ্কের ফসলে পরিণত হয়। তুমি যদি ভোগবাদী মানসিকতায় অন্যায় করতে ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে পড়, তাহলে তোমার বোনের জন্য সৎ ও যোগ্য পাত্র কেন সন্ধান কর?
নারীর ন্যায্য অধিকারকে কখনোই খাটো করে দেখছি না। তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, নারী! তুমি অসময়ে অপ্রয়োজনে বৈধ সম্পর্কের অভিভাবক ব্যতীত বিতর্কিত পরিবেশে যেওনা। কেননা, আপনারা অবগত আছেন, গত পহেলা বৈশাখে টিএসসি চত্বরে নারীদের বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানীর সাথে যারা জড়িত তাদেরকে এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা হতে ৮ জন অপরাধীর ছবি প্রকাশ ও অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে একলক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেই কর্তৃপক্ষ তার দায় এড়িয়েছেন। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তার মধ্য থেকেও ঘটে নানা দুর্ঘটনা। তাহলে যেখানে পুলিশি প্রহরা নেই সেখানে অনিয়মের মাত্রা কত হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই অভিভাবককে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেই তার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। কেননা, প্রকৃত নৈতিক শিক্ষার পাশাপশি পারিবারিকভাবে নৈতিকতার অভাব বলেই আজ সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে।
থার্টিফার্স্ট নাইটের মতো নোংড়া সংস্কৃতি এদেশে আমদানি করেছেন কতিপয় জ্ঞানপাপী। শিক্ষাঙ্গনসহ সব স্তরে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিজাতীয় সংস্কৃতি আমদানি, মিডিয়ায় পশ্চিমা সংস্কৃতির পরিপালন, আমাদের ছেলে-মেয়েদের সুস্থ সংস্কৃতিকে নষ্ট করে দিয়েছে, দিচ্ছে। বিদায় নিয়েছে মানবিকতা, লালন করছে পশুবৃত্তি, লোপ পাচ্ছে মেধা, অপচয় হচ্ছে অভিভাবকের টাকা, ধূলোয় মিশে যাচ্ছে ইজ্জত-সম্মান, পারিবারিক ঐতিহ্য। এ কারণেই আমাদের দেখতে হচ্ছে মানিকের মতো অসভ্যদের; যারা ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে বিকৃত আনন্দে মেতে ওঠে, মিষ্টি বিতরণ করে। তৈরি হয় মা-বাবা হত্যাকারী ঐশীরা।
No comments:
Post a Comment