Friday, 11 December 2015

ইসলামে "যৌনাচার" বলতে কি বুঝায়??

যৌনাচার আল্লাহতা'য়ালা প্রদত্ত এক স্বাভাবিক মৌলিক প্রবৃত্তি।আর তিঁনি এই চাহিদা মেটানোর জন্য হালাল পন্থারও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।এই প্রবৃত্তি যখন আল্লাহ প্রদত্ত পন্থা ব্যতিত অন্য পন্থায় মেটানো হয়,তখন তা যৌন বিকৃতির পর্যায়ে পরে।আর ইসলাম এই যৌন বিকৃতির সকল পথ বন্ধ করে দিয়েছে।এখানে শুধু যৌনাচার কোনগুলোকে বলব,সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।পরবর্তী নোটে ইনশাআল্লাহ 'যৌন বিকৃতি' নিয়ে আলোচনা করব।

আপনি বয়ঃসন্ধি পার হয়ে যখন একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী/পুরুষে পরিনত হন,যাকে ইসলামী পরিভাষায় বালেগ/বালেগা বলে,তখন আপনার চিত্ত স্বভাবতই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন অনুভব, আগ্রহ ও বিভিন্ন ভালোলাগার আবির্ভাব ঘটতে থাকে যা করে।এই প্রাপ্ত বয়সটা আসলে অনেকটা biological -ভোটার লিস্টের সাথে সম্পর্কিত প্রাপ্ত বয়সের কোন মিল নেই।কোন মেয়ে যদি ১২ বছর বা ১৫ বছরে অন্তঃসত্বা হয়,তাহলে বুঝতে হবে সে ঐ বয়সে biologically প্রাপ্তবয়স্ক বিধায় সংসর্গ ও গর্ভধারনের উপযুক্ত ছিল।যাহোক এই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে ইসলাম মানব মানবীর উপর "segregation of sex" বা "নারী পুরুষ বিচরনের ক্ষেত্রে পৃথকীকরন" এর আদেশ দেয়।এই সময় থেকে একজন বাড়ন্ত পুরুষ,নারীর দৈহিক সৌন্দর্য,তার অবয়বের সৌন্দর্য,তার স্পর্শ,তার গন্ধ,তার কন্ঠস্বর,তার বাচনভঙ্গি,তার হাঁটা চলার সুললিত ভঙ্গি,তার চেয়ে দেখা বা দৃষ্টি,তার অভিব্যক্তি বা expression ইত্যাদি সবকিছুর প্রতি প্রবল আকর্ষন অনুভব করে এবং এসব কিছুর উপস্থিতি সে উপভোগ করতে শুরু করে,আর এটাই স্বাভাবিক। একই কথা একজন বাড়ন্ত নারীর বেলাও প্রযোজ্য। তবে gender ভেদে এগুলোর বিন্যাস বদলাতে পারে।এই প্রবল আকর্ষন থেকে,আকর্ষনীয় বিষয়গুলো লাভ করা বা কাছে পাওয়ার যে প্রবৃত্তি তাকেই "যৌনস্পৃহা" বা "যৌন প্রবৃত্তি" বলা হয়।

এই প্রবৃত্তির নিবৃত্তিকল্পে যা কিছু করা হবে,তাকে যৌনাচার বলা হয়,যদি না তা সংসর্গ বা সংযুক্তি পর্যন্ত নাও গড়ায়।যেমন-একজন পুরুষ যৌন আকর্ষনের বশবর্তী হয়ে কোন নারীর হাত স্পর্শ করলে,সেটা যৌনাচার হবে।যখনই আমরা বলি" ইসলাম বিবাহ ব্যতিত অন্য পন্থায় যৌনাচার অনুমোদন করে না"।অর্থাৎ তার মানে এই দাঁড়ায়,আপনি শুধু নিজের স্ত্রীর দৈহিক সৌন্দর্য,তার অবয়বের সৌন্দর্য,তার স্পর্শ,তার গন্ধ,তার কন্ঠসুধা উপভোগ করতে পারবেন।এবং এই সকল সুখ কেবল আপনার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুমোদিত নারী অর্থাৎ আপনার স্ত্রীর কাছ থেকে লাভ করতে হবে।একই কথা নারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য আপনি কেবল আপনার যৌন অভিলাষ বলে বিবেচিত বিষয়গুলো কেবল মাত্র অনুমোদিত পুরুষ অর্থৎ স্বামীর কাছ থেকে লাভ করতে পারবেন।

আর এটাই ইসলামের অনুমোদিত যৌনাচার বিধান।

("মুসলিম সমাজে বিবাহ ও নারীবাদ" বই থেকে সংগৃহীত)

No comments:

Post a Comment