Friday, 2 October 2015

Emotion between Husband and Wife

একটা স্ট্যাটাস দেখে অনেক ভাল লেগেছিল। বিবাহিত কাপলদের জন্যে। একটা নিজেদের জন্যে সুন্দর box তৈরী করা। সারা সপ্তাহের ইমোশন জমা হবে সেখানে। box খোলা হবে weekend এ। সারা সপ্তাহের বলতে না পারা জমানো ক্ষোভ, ভালবাসা , ছোট ছোট অনুভূতি গুলো জমা হবে সেখানে। জমা হবে কিভাবে সেদিন বিদায় না নিয়ে অফিসে চলে যাওয়ায় আপুটার কত খারাপ লেগেছিল, জমা হবে সেদিন বাজার করতে ভুলে যাওয়ায় আপুটার ঝাড়ি খেয়ে ভাইয়াটার মন খারাপের কথা, আপুটার টেবিলের ওপর রাখা ছোট্ট গিফট টা দেখে চোখে পানি চলে আসার কথা,ভাইয়াটার কোন এক মুহূর্তের লেখা আলহামদুলিল্লাহ, আমি এত সুখী কেন!!!

ক্ষোভগুলো আর জমে থাকবে না... যে অনুভূতিগুলো প্রকাশ করা হত না, সেগুলো প্রকাশ হবে, জমানো কথাগুলো নতুন রঙ দেবে।
খুব খারাপ লাগে সম্পর্কের টানা পোড়েন দেখলে। কেন ভাইয়া গুলো চিন্তা করে না I am not just to be good to my wife..but I have to be best, because Allah will judge my akhlak best on my relationship with my wife.. 'আমার ওয়াইফ অনেক ভাল, সে আমাকে কখনো খারাপ বলবে না, ' hmmm আসলেই ঠিক ভাইয়ারা। কিন্তু বুক চিড়ে বের হওয়া দীর্ঘশ্বাস গুলো, আপনার জন্যে বালিশ ভেজানো চোখের পানিগুলো, আপনার দেওয়া অসম্ভব মন খারাপের মুহুর্ত গুলো, আপনার ব্যবহারে বুক ভেংগে আসা কান্নাগুলোর, হৃদয়ের ভাঙা টুকরো গুলোর হিসেব কেউ না রাখলেও এক জন তো রাখছেন, তাই না। আপনি কি জবাব দিবেন?

হে মুসলিম ভাই, আপনাকেই বলছি, কিভাবে পারেন আপনি অথচ আপনি নাকি আপনার রবকে ভয় করেন...
আপুরা স্বামীদের দ্বীনদার করে তোলেন। একজন ভাই যে আল্লাহকে সত্যিকারার্থে ভালবাসেন, যিনি শেষ বিচারের দিনকে ভয় করেন সে আপনার পূর্ণ হক আদায় করবে, আপনাকে রাণীর মত মর্যাদা দেবে, আপনার ছোট থেকে ছোট জিনিস খেয়াল রাখবে.. কেন...
ভাইয়ারা আপু রা বাড়ি, গাড়ি চান না, আপু রা একটু সময় চান, একটু ভালবাসার প্রকাশ চান, একটু ভালবাসি শুনতে চান। হঠাত হঠাত একটু ফুল, হঠাত দেওয়া message "alhamdulillah to have you in my life". it may not change you.. but it will change her whole day.periodically করুন। weekend এ হিসেব করুন এই সপ্তাহে ভালবাসা প্রকাশ করতে ভুলে যাননি তো..

তাকে তার বাবার বাড়ি নিয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিন। তাকে জিজ্ঞেস করুন বাসার সবাই ভাল কিনা, মাঝে মাঝে তাকে টাকা দিন বাসার জন্যে গিফট কিনতে, খুব দামী তো কিছু না, একটা বড় cake অথবা বড় ফুলের তোড়া, এভাবে tips দিন। বিশ্বাস করুন আপনার স্ত্রীর কাছে আপনার চেয়ে ভাল এই পৃথিবীতে কেউ থাকবে না। আপনাকে সে মনে মনে কতটা শ্রদ্ধা করবে you have no ability to imagine. কারণ তার সবচেয়ে weak point তার মায়ের বাড়ি... তাকে স্বাধীনতা দিন যখন খুশি বাসায় যাওয়ার। বিশ্বাস রাখুন আপনার স্ত্রী এত অবিবেচক না যে আপনার সুবিধা অসুবিধা না দেখেই স্বাধীনতা দেখানো শুরু করবে। কিন্তু সে অনেক খুশি হবে। সে সিজদায় চোখের পানি ফেলবে আমি এত সুখী কেন! স্ত্রীদের বশ করা অনেক সহজ ভাইয়ারা।

আপনার মা বোন অসম্ভব ভাল, ঠিক আছে, কিন্তু এইটা মাথায় রাখবেন তারা সাইকোলজিস্ট না। নতুন একটা মানুষের সাথে আপন ভেবেই হয়ত তারা যে আচরণ করবে, সব ছেড়ে আসা নতুন মানুষটা সে আচরণে ততটাই সংকুচিত হয়ে যেতে পারে। তাই তাকে জিজ্ঞেস করুন বার বার বার বার তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তো, কারো কথায় খারাপ লাগছে না তো। সারাটা জীবন সে এটাই মনে রাখবে...

try to balance between your duties to your mother and wife. আপনার মাকে আপনি অনেক ভালবাসেন কিন্তু এই ভালবাসা যেন আপনার বউয়ের প্রতি আপনাকে দায়িত্বশীল হতে শেখায়। আপনার মায়ের নিচে আপনার জান্নাত আর আপনার বউ আপনার কাছে বিরাট একটা আমানত।কোন একজনের প্রতি অন্ধ হবেন না কখনো, try to deal reasonably and tactfully n of course according to sharia. মা ই হোক বা বউ, এদের কারো প্রতি আপনার এতটুকুও দায়িত্বহীনতা আপনাকে শেষ বিচারের দিন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়া করাবে।

এক জন স্ত্রীর ওপর আল্লাহ স্বামীকে এক ধাপ উপরের মর্যাদা দিয়েছে, কেন কারণ দায়িত্ব। আপনার স্ত্রী তার সারা জীবনের পরিচিত ঘর, পরিচিত মানুষ ছেড়ে আপনার কাছে এসেছে, আপনার দায়িত্ব আপনার স্ত্রীকে আপনি দেখে রাখবেন, আপনি যথাযথ মর্যাদা দেবেন তাকে, সে আমানত আপনার কাছে, এক ঘরে সে রাজকুমারীর মত ছিল, আপনি যেন তাকে রাণী হিসেবে রাখেন।

ব্যাপারটা আপনি তখন বুঝবেন যখন আপনি আল্লাহকে ভয় করবেন। তাই আপুরা নিয়মিত তালিম করবেন ঘরে ৫-১০ মিনিটের জন্যে হলেও, আপনার স্বামী যতই ধার্মিক হোক না কেন, তারপরেও। কারণ দ্বীন চর্চা না থাকলে জং ধরে যায়, জানা কথাই বার বার বার বার শুনতে থাকলে শয়তানের ওয়াস ওয়াসা দিতেও কষ্ট হয়ে যায়।তাহাজ্জুদ পড়বেন, দোয়া করবেন, এর কোন বিকল্প নাই! ভাইয়াদের মানসিক অবস্থাও বোঝার চেষ্টা করবেন, he has loads of work to do outside, ক্লান্ত শরীরে বাসায় আসার পর আপনার হাসিমুখে সালাম, ঠান্ডা সরবত, গোছানো ঘর টা ভাইয়াকে চিন্তা করাবে আমার বউ টা এত ভাল কেন! সুন্নাত পালন করুন, জীবনটা বদলে যাবে...

ভাইয়ার ফ্যামিলিকে আপন করার চেষ্টা করুন। আপনার husband এর জান্নাত আপনার শ্বাশুড়ির পায়ের নিচে - এটা মাথায় রাখবেন। মাঝে মাঝে গিফট কিনে আনুন, হাজবেন্ডকেও টিপস দিন যাও মায়ের সাথে একটু সময় কাটাও। আকাশের চাঁদ হাতে এনে দিলেও তারা এত খুশি হবেনা।মেয়েদের একটা স্বভাব তারা মুখে এক, মনে চাইবে আরেক। মুখে বলবে না, মনে চাইবে হ্যাঁ। আপুরা আপনাদের হাজবেন্ড মানুষ, mind reader না। স্পষ্ট ভাষায় কি খারাপ লাগে, আপনি কি চান, কি পছন্দ করেন বলবেন। এরপর সে অনুযায়ী না হলে রাগ করেন, নিজে তাকে mislead করে মন খারাপ করবেন না যে ও আমাকে একদমই বুঝে না।
নিজেদের ছোটখাটো ভুলগুলো অগ্রাহ্য করুন। ক্ষোভ পুষে রাখবেন না, একে ওপরের পোশাক হন। দু জন কখনোই এক সাথে মাথা গরম করবেন না। নেভার এভার। মাথা ঠান্ডা হলে এরপর সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন কি করা তার উচিত হয় নাই.. একসাথে দ্বীনের চর্চা করুন.. রোজা রাখা, তাহাজ্জুদ পড়া, সূরা শেখা.. বেশি বেশি সূরা ফুরকানের ৭৪ নাম্বার আয়াত পড়ার তাগিদ দেওয়া... সবচেয়ে বড় জিনিস নিজেদের ফরজের ব্যাপারে সচেতন হোন..

একটা সম্পর্ক প্রথম থেকেই মিষ্টি মধুর হয় না, তাকে গড়ে নিতে হয়। একজনের অপর জনের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা, বোঝাপড়া পারে কুঁড়ে ঘর কেও স্বর্গ করতে! ভালবাসা সবার ঘরে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসুক.. এই দুয়ায়।।।।।

Collected From: Half deen

No comments:

Post a Comment