Saturday, 14 May 2016

✎ নগ্নতা যদি ফ্যাশন হয়, ধর্ষন তাহলে শারীরিক ব্যায়াম

আপুরা মাফ করবেন...
===============
প্রথমেই বলে রাখি, পুরুষ তার যৌবনের কামনা মেটানোর জন্য ধর্ষণ করে।  ধর্ষকের কাছে কে হিজাবী, কে বোরকাওয়ালি, কে শিশু এগুলো কিছুই দেখার নাই। বলার উদ্দেশ্য এই যে, কেবল অনিচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক করলেই ধর্ষক? না। ধর্ষক শুধু সেই-ই নয়।প্রতিনিয়ত আপনিও ধর্ষিত হচ্ছেন কি না ? সেটা ভেবে নিন।

নিজের কিছু অভিজ্ঞতা তুলে ধরলাম----------

১. এক ডিপার্টমেন্টের নবীন বরণঅনুষ্ঠানে গেলাম। একটা মেয়ে নাচতে উঠলো,সাথে সাথে তখনি আরো ২০টা ছেলে তার সাথে কোমর দোলানো শুরু করলো। এটা কি খুব ইজ্জতের কথা। এখানে আপনার কিছু মনে হয় না? কিন্ত বাসের হেল্পার যদি এমন করতো,তবে আপনার ইজ্জত খুলে পড়ে যেতো।

২. বড় বড় অনুষ্ঠানে গান বাজানো হয়, রূপবানে নাচে কোমর দুলাইয়া। পোলাতো নয় যেনো আগুনের গোলা......এই টাইপের  গানগুলো কি খুবই মানানসই? এগুলো কি নারী জাতির উন্নতির প্রতীক?

৩. আপনি তনুর ধর্ষণের দিকে যাচ্ছেন,অত দূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের Rag day ছেলেমেয়ের অবস্থা দেখেন.... মুরুব্বীরা কেউ এগুলো দেখলে ভার্সিটি পড়াই অফ করে দিবে। এখন সেই বন্ধুই যদি আপনার ক্ষতি করে, তাহলে.....?

৪. বিশ্বাস করুন....! কিছু মেয়েকে দেখলে অবাক লাগে। এদের কোনটা জামাই-কোনটা বন্ধু আর কোনটা বয়ফ্রেন্ড পার্থক্য করতে পারবেন না। হাসতে হাসতে ছেলের বুকের উপর এসে পড়ে, ছেলের সাথে গা লাগিয়ে থাকে। এখন সেই ছেলে যদি উত্তেজনায় শারীরিক সম্পর্কে করে, তখন........?

৫. আপনার পাশের মানুষটি বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক করেছে, সেটা কী ধর্ষণ নয়?

৬. আপনি যখন boyfriend এর সাথে ফোনে অশ্লীল বাক্যালাপ করেন, এটা কি ধষর্ন এর নমুনা নয়? শরীর ঢাকার নামে বোরকা পরে নিজের দেহের গঠন মানুষকে দেখান ভেবে দেখুন, তো ধর্ষনের জন্য আপনারা দায়ী আছেন কি না????? আপনারা ও সমান ভাবে দায়ি।

৭. দেখুন, শিশু মনে কিভাবে ইভটিজিং ঢুকানো হচ্ছে। ডোরেমন একটি শিশুমূলক কার্টুন।আর সেখানে দেখবেন, সেজুকাকে নিয়ে কী করা হচ্ছে। শিশুতোষ ইভটিজিং কার্টুন।

৮. একটি মেয়ে যখন উদ্ভট পোশাক পরে রাস্তায় বের হয়, তার ইচ্ছে থাকে ছেলেরা তার দিকে তাকিয়ে থাকুক। তাকে সেক্সি বলুক। কিন্ত সেই ছেলেরা যখন যৌবনের তাড়না রাখতে না পেরে শারীরিক লাঞ্চনা করে, তখনি ছেলের দোষ হয়ে যায়। প্রগতিবাদীরা বলবে, একটা মেয়ে যেই ড্রেসই পরিধান করুক না কেন, তাতে তোমার কী? সুবিধাবাদীরা বলবে, জৈবিক প্রয়োজন মেটানো মানুষের মৌলিক অধিকার। so আমি যার সাথে ইচ্ছে করবো, মেয়ের কী?

একটা কথা না বললেই নয়."নগ্নতা যদি ফ্যাশন হয় ধর্ষন তা হলে শারীরিক ব্যয়েম"সোজা কথা আপু, আপনাকে পণ্য বানানো হচ্ছে। সমাজের কিছু কুলঙ্গার আপনাকে নিয়ে খেলছে। কিন্ত আপনি কি তা বুঝছেন? চোর যেমন একদিনেই বড় চোর হয় না, তেমনি ধর্ষকও একদিনে হয় না। অনেক উপাদান সম্মিলিত হয়েই তবে সে ধর্ষক হয়।

আফসোসের বিষয় যে আপনারএই ভুলগুলো ধরিয়ে দিবে, তাকে আপনার পছন্দ হবে না। সে হবে ক্ষ্যাত আর ব্যাকডেটেট। কিন্ত যে ছেলে প্রগতিবাদের নামে প্রতিনিয়ত মজা নিচ্ছে, সেই আপনার কাছে শ্রেষ্ঠ। এজন্য দেখবেন, এসব ছেলেরা কখনো বিয়ে করে না। কারণ, বিয়ে না করা পর্যন্ত সব মেয়েই তার বউ মনে করে ব্যবহার করতে পারে। তাই ওসব নীরব ‘ধর্ষকের’ বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলুন....

নইলে তনুর মত ভাগ্য আপনারও বরণ করতে হতে পারে....

[ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত]

No comments:

Post a Comment