Friday, 19 February 2016

নারী ও পুরুষের পার্থক্য কি Biological না Sociological ??

আমরা এখানে দুটো দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ইনশাআল্লাহ তুলে ধরব যে,নারী-পুরুষের পার্থক্য কি শুধু Sociological নাকি Biological.....

প্রথমত,বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি...
দ্বিতীয়ত,ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি...

★ প্রথমত,বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি----

নারী-পুরুষের পার্থক্য বিষয়ে যত বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষনা প্রকাশিত হয়েছে,তার ফলাফল কেবল বার বার একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে,নারী-পুরুষের পার্থক্য কোন Sociological কারনে সৃষ্ট ব্যাপার না বরং তা জন্মগত Biological বা জৈব কিংবা Genetical বা স্বভাবজাত।এ ধরনের গবেষনার ফলাফল সমৃদ্ধ অনেক বই ও জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।তবে অতি সাম্প্রতিক সময়ে দুইজন বৃটিশ বিজ্ঞানীর লেখা "Brainsex" নামক বইটি পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক আলোরন সৃষ্টি করেছে...যার ভূমিকার প্রথম লাইনগুলো হচ্ছে এমন--
"Men are different from women. They equally only in their common membership of the same species,humankind. To maintain that they are same in aptitude,Skill or behavior is to build a society based on a biological and scientific lie."

আসলে আলোকিত বিশ্বের (!) ব্যাপার স্যাপারই বোধহয় এমন-মিথ্যাকে বা অসত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত কোন value system কে মান্যজনেরা সত্যি বলে চাপিয়ে দিতে চান সাধারন জনগনের উপর।যেমন আমাদের দেশের কিছু রাজধানীবাসী গুনিজনেরা(!) ১লা বৈশাখে রমনার বটমূলে পয়সার বিনিময়ে মেয়েদের পর-পুরুষের মুখে পান্তাভাত তুলে দেওয়ার 'গেইশা' সুলভ কর্মকাণ্ডকে বাংলার জনগনের হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে চাপিয়ে দিতে চান--অথচ হলফ করে বলতে পারি বাংলার জনগনের ৯৫% কখনই এমন ঐতিহ্যর কথা শোনেনি বা জানে না।যাই হোক মূল আলোচনা হল,নারীবাদী ও তার পৃষ্ঠপোষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়,"নারী ও  পুরুষের পার্থক্য কেবল sociological ব্যাপার" অর্থাৎ যদি ছোটবেলায় আমার ছেলের হাতে ফুটবলের পরিবর্তে পুতুল তুলে দিতাম আর মেয়ের হাতে পুতুল বাদ দিয়ে ফুটবল তুলে দিতাম তাহলে ছেলে ফুটবল বাদ দিয়ে পুতুল খেলতেই পছন্দ করত আর মেয়ে যেকোন ছেলের মতই ভাল ফুটবল খেলতে পারত--ব্যাপারটা এরকম।আরো সহজভাবে বলতে গেলে,এরকম যে সমাজে প্রচলিত বৈষ্যমের কারনেই মেয়ে কোমলমতি,বাচ্চাদের প্রতি আগ্রহী,সৌন্দর্য গুনাগুন সম্পন্ন,স্নেহপরায়ণা হয়-তা না হলে তারাও ছেলেদের মত সাহসী,মারমুখী,দ্রুতগতি,ডানপিটে বা বহির্মুখী হত।ব্যপারটা আসলে,সূর্যমুখী ফুলের মত বেলী ফুলকে যদি ক্ষেতে ফলানো যেত,তাহলে বেলীফুলও সুর্যমুখীর মত বর্ণে,গন্ধে ও আকারে একই হত।বিকৃতি মস্তিষ্ক ছাড়া এমন কথা কোন layman বা সাধারন বুদ্ধিমত্তার কোন মানুষের মানতে পারার কথা রয়েছে বলে তো বোধ হয় না।

বর্তমান বিশ্ব তার দৈনন্দিন কর্মকান্ড ও জীবনযাত্রার মান রক্ষার  রাখার জন্য নানা মিথ্যাচারের উদ্ভব করছে।একটা মিথ্যাকে টিকিয়ে আরেকটি মিথ্যার উদ্ভব ঘটে।যেমনঃ গনতন্ত্রের কথাই ধরা যাক (যদিও একটা ভুল মতবাদ গনতন্ত্র।আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশিত পন্থাই সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা ও মানবতার মুক্তি,,তবুও উদাহরনের সুবিধার্তে ধরে নিলাম)।গনতন্ত্র বলে আসলে পৃথিবীর কোথাও কিছু Exist করে না।যেসব দেশের গনতন্ত্রকে বোতলে ভরা mineral water এর মত নির্ভেজাল ও পবিত্র মনে করা হয় তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম।কর্তা ব্যক্তিদের গনতন্ত্রের গিনিপিগ অর্থাৎ জনগনের ভোটের প্রয়োজন হয় ৪/৫ বছরে একবার।এখানে শাসনকার্যে বা দেশ পরিচালনায় তথাকথিত জনগনের অংশগ্রহনের কোন প্রশ্নই উঠে না।২০০৩ সালে ইরাক আক্রমনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০-৭০% মানুষ এটাকে সমর্থন করেছিল আর ব্রিটেনের ৬০-৭০% এর বিরোধিতা করেছিল অথচ দুটি দেশই যুদ্ধে যাবার এক ও অভিন্ন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল।তাহলে গনতন্ত্র রইলো কোথায়???

যাইহোক,পৃথিবীর কর্মকান্ড এক সেট মিথ্যাচারের উপর ভিত্তি করে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে পরিচালিত।বুদ্ধিবৃত্তির পেশা অনেকটা পতিতাবৃত্তির মত।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গবেষণা চলে কোন ব্যক্তি বা সংস্থার grant বা আর্থিক সহযোগিতায়।আর ঐসব grant তখনই granted হয় যখন,ঐ সব গবেষনার ফলাফল grant দাতাদের স্বার্থ রক্ষা করে।আবার মিডিয়া বা প্রিন্ট মিডিয়া যাই হোক না কেন?সেখানে শুধু ঐ টুকুই দেখানো হবে যা মুষ্টিমেয় মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে চলে।

এখানে দুটো উদাহরন দিতে চাই,একটি হল "Why I embraced islam" বই থেকে একজন ধর্মান্তরিত মুসলিমাহর কথা--যেখানে বলা হচ্ছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রশিক্ষন দিতে,কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যার্থীদের পরিচালনা করা হয়।বর্ননাকারী বোন sariffa A. carlo পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করাতে আজ আমার মত কেউ ব্যাপারটা জানতে পারছে,আমরা বেশ নিশ্চয়তা সমেত ধরে নিতে পারি যে,তারমত আরো অগনিত পশ্চিমা মানুষকে,ইসলামী জীবনদর্শনকে deconstruct করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়ে থাকে।

এখানে উল্লেখ্য যে,নারী-পুরুষ "সর্বসম" বলে আপনি যদি মত প্রকাশ করেন,তাহলে পশ্চিমা কাফিরদের এবং তাদের অনুসারীদের কাছে আপনি বুদ্ধিমান,প্রাজ্ঞ ও রাজনৈতিক ভাবে শুদ্ধ বলে বিবেচিত হবেন।আর আপনার গবেষনার ফলাফল যদি উল্টো হয় তাহলে ঠিক উল্টো ব্যাপার ঘটবে,আপনি ক্ষমতাধরদের রোষানলে পড়বেন।যদিও ঐ ক্ষমতাধররা তাদের ২২৮ বছরের ইতিহাসে, সেখানে কেন একজনও মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় নি তা ব্যাখ্যা করতে ব্যার্থ হবে।

"Brainsex" বইয়ের রচয়িতাদ্বয় Anne moir & David Jessel বলেন যে,১৯৬০ এর দশকে মস্তিষ্ক নিয়ে নতুনভাবে গবেষনা শুরু হয়,এবং সেখান থেকেই নারী-পুরুষের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য বেড়িয়ে আসতে শুরু করে।কিন্তু ঐ সময়টাতে যেহুতু নারী-পুরুষের পার্থক্যটাকে অস্বীকার করার প্রচেষ্টা ছিল প্রকট,তাই এই ফলাফল সহজেই ধামাচাপা পড়ে যায়।পার্থক্য দমন করার বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার পথ ধরেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে নারী ও পুরুষের পার্থক্য।IQ পরীক্ষাসমূহ থেকে গবেষকগণ দেখলো যে,স্থায়ীভাবেই এক লিঙ্গের উপর অপর লিঙ্গের পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠল।১৯৫০ এর দশকে মার্কিন বিশেষজ্ঞ Dr.D.wechsler যে IQ পরীক্ষা উদ্ভাবন করেছিলেন এখনও তা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।সেসময় ৩০ টি পরীক্ষাতে নারী-পুরুষের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।কিন্তু তাকে "লিঙ্গ বৈষম্য "বলে সে ফলাফলকে বাতিল ঘোষনা করা হয়।

"Brainsex" বইয়ে প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক ফলাফল অনুযায়ী, "গর্ভধারনের ৬/৭ সপ্তাহ পরের একটা পর্যায়ে অনাগত শিশুর ভ্রুনটি তার লিঙ্গ সমন্ধে সিদ্ধান্তে পৌঁছে,এবং তার মস্তিষ্ক একটা 'ছেলে মস্তিষ্কের ধাঁচ' বা 'একটা মেয়ে মস্তিষ্কের ধাঁচ' গ্রহন করতে শুরু করে।মাতৃজরায়ুর এই অন্ধকার প্রকোষ্ঠে ক্রান্তিলগ্নে ঘটে যাওয়া প্রক্রিয়াই মস্তিষ্কের গঠন ও বিন্যাস নির্ধারন করে,আর তা প্রকারান্তরে মনের প্রকৃতিও নির্ধারন করে থাকে,আল্লাহ ইচ্ছায়।এটা হচ্ছে জীবন ও সৃষ্টি প্রক্রিয়ার এক অভূতপূর্ব সাফল্য,যা আমরা এতদিনে জানতে পারলাম।কিন্তু ক্রমেই তা স্পষ্টভাবে আমাদের কাছে প্রকাশ পাচ্ছে।জরায়ুতে মস্তিষ্ক যখন গঠিত হয়,তখন হরমোনসমূহ নির্ধারন করে ঐ মস্তিষ্ক একজন পুত্রসন্তানের না কন্যাসন্তানের আকার ধারন করবে।কেবল গর্ভধারনের কয়েক সপ্তাহ পরে,ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে আমাদের ভ্রুন দেখতে একই রকম।এরপর সারাজীবন তাদের চলাফেরা,কর্মকান্ড,আচার আচরন কীভাবে মস্তিষ্ক গঠিত হয়েছিল, তার উপর সুক্ষভাবে নির্ভরশীল হরমোনসমূহের ক্রিয়াকলাপের মৌলিক প্রভাব অব্যহত থাকে।আমরা জানি যে,আমাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের সাংকেতিক নীলনকশা জিনসমূহই নারী ও পুরুষকে পৃথক করে দেয়।অনুবীক্ষন যন্ত্রের মাধ্যমে দেখলে বোঝা যায় যে,আমাদের দেহের লক্ষ কোটি কোষের প্রতিটি কোষই নারী ও পুরুষ ভিন্ন।

Brainsex এর রচয়িতাদের মতে,এরপর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে লিঙ্গ নিরপেক্ষ একটা পৃথিবী পুনর্গঠন করতে গেলে অনেক পরিশ্রম বা কাঠখড় পোড়াতে হয়,কেননা তা হচ্ছে এক অস্বাভাবিক বা প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজ; এ ধরনের প্রচেষ্টা হচ্ছে সামাজিক ও রাজনৈতিক উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ--কিন্তু সামাজিক বা রাজনৈতিক উপলব্ধি মস্তিষ্কের বিন্যাস করে না,এটা নিয়ন্ত্রিত হয় কিছু হরমোন দ্বারা।

ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি----

মানুষ হিসেবে বা আল্লাহর বান্দা/বান্দী হিসেবে সমান মনে করা সত্ত্বেও ইসলাম কিছু ক্ষেত্রে যেমন,পারিবারিক,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে,পালন করার জন্য নারী ও পুরুষের বিভিন্ন দায়িত্ব ও ভূমিকা দিয়ে থাকে এবং তার ভিত্তিযে অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক বা সঠিকভাবে বলতে গেলে Biological--একথাটা কাফির-মুশরিক বা নারীবাদী তো বটেই অনেক খৎনা করা আধুনিক মুসলিমের ও মনে থাকে না।মেয়েদের আচার আচরন মনোভাব,মনোবৃত্তি যে তাদের মাসিক ঋতুচক্রের উপর নির্ভর করে বড় মাত্রার তারতম্যের ভিতর দিয়ে যায়-এই বৈজ্ঞানিক তথ্যটিও আজকের নারীবাদী থেকে শুরু করে স্যানিটারি ন্যপকিনের বিজ্ঞাপন পর্যন্ত অবদমিত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

ইসলাম কোন কোন ধরনের বিচারকার্যে যে মেয়ে সাক্ষীর ব্যাপারটা যে পুরুষদের চেয়ে ভিন্ন চোখে দেখে এবং তাদের বিচারক হওয়ার ব্যাপারে যে বিধি নিষেধ আরোপ করে তা নিয়ে কাফির মুশরিক দেশতো কটাক্ষ করে তো বটেই,মুসলিম দেশগুলোতে কাফিরদের কাছে মগজ বন্ধক দেয়ারাও কম যান না।মেয়েদের ঋতুচক্রে রক্তস্রাব হওয়ার ঠিক আগের দিনগুলোতে premenstrual tension (PMT) বলে ধরনের অবস্থার অবতারণা হয়,এসময় মেয়েদের আচার আচরন অদ্ভুদভাবে বদলে যায় এবং এক প্রকার অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়।এভাবে আল্লাহ প্রদত্ত biological কারনেই নারী ও পুরুষের কাজে কর্মে আচার আচরনে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

পশ্চিমা নারীবাদ থেকে শুরু করে দেশি স্মৈরিণীকুল,পশ্চিমা সভ্যতার কাফির থেকে শুরু করে বিশ্বাস হারানো কার্যত কাফির দেশী বুদ্ধি বিক্রেতা আঁতেল-সবাই ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটা আক্রমন হল,পুরুষদের একাধিক বিবাহ অনুমোদন।একজন বিশ্বাসীর জন্য আল্লাহ অনুমোদন করেছেন এতটুকুই যথেষ্ট কিন্তু একজন কাফির আল্লাহর আইন নিয়ে কি ভাবল তাতে কিছু আসে যায় না।কিন্তু যাদের ঈমান আর কুফরের মাঝে অবস্থান,তারা একবার ভেবে দেখার অবকাশ নিতে পারেন।

ইসলাম যে ছেলেদের ও মেয়েদের সতর ঢাকা বা পর্দা করার বিষয়ে ভিন্ন সংজ্ঞা নির্ধারন করেছেন-সে বিষয়টা।বিশ্বজোড়া কাফির মিডিয়ার প্রচারনা,নারীদের আক্ষেপ আর ইহুদী বানিয়াগন কর্তৃক "নারী দেহের পন্যায়ন" এ সবকিছুই নারীদেহের সর্বাধিক সম্ভব প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকে।তারা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ইসলামী অনুশাসনের বিপরীতে চলে।বিশ্বাস হারানোর পূর্বে আজকের পশ্চিমা কাফির বিশ্ব যখন ঈশ্বর বা পরকালে বিশ্বাস করত(চতুর্দশ বা পঞ্চাদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ড বা ফ্রান্স) তখনকার দিনের প্রতিকৃতি বা তৈলচিত্রে দেখা যায়,কোন সম্ভ্রান্ত নারী মুখমন্ডল ছাড়া সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখত।তারপর তারা বস্তুবাদী কাফিরে পরিনত হলে,অনেক কিছুর মত সাধারন নারী দেহ ও প্রদর্শন যোগ্য পন্যে পরিনত হয়।কাফির বিশ্বের বেশভূষা প্রদর্শন এ কথারই প্রমান বহন করে।অযাচিত মনযোগ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই ইসলামে পর্দার বিধান রয়েছে।

তাই উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট,আমরা পছন্দ করি বা নাই করি নারী-পুরুষের পার্থক্য সুস্পষ্ট এবং তা সামাজিক কোন বৈষ্যমের কারনে সৃষ্ট নয় বরং তা Biological...

No comments:

Post a Comment